মানবতাবিরোধী অপরাধ

নোয়াখালীর ৪ আসামির রায় মঙ্গলবার

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০১৮, ১২:১৯

সাহস ডেস্ক

নোয়াখালীর সুধারামের আমির আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায় জানা যাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৩ মার্চ)। 

প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৬ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিল।

সোমবার ট্রাইব্যুনাল জানায়, রায় দেওয়া হবে মঙ্গলবার। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি হবে ৩১তম রায়।

এ মামলার আসামিরা হলেন- আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন, মো. আব্দুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। তাদের মধ্যে মনসুর পলাতক। মামলার আরেক আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন জাহিদ ইমাম। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।

প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা করে।

মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন। তিনিসহ মোট ১৫ জন প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষ ট্রাইব্যুনালে কোনো সাক্ষী হাজির করতে পারেনি।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিন। গত বছরের ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওইদিনই প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।

২০১৫ সালের ০৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেপ্তার হন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও ইউসুফ আলী। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুল কুদ্দুসকে।

সাহস২৪.কম/মশিউর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত