বরগুনায় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন আহমেদের স্মরণে সভা

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:১৪

সাহস ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু হত্যামামলার সাক্ষী এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যুতে বরগুনায় স্মরণ সভা করা হয়েছে।  

সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১’ বরগুনা জেলা শাখার উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১’ বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মনোয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মোকলেসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।

এসময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রশিদ, মুক্তিযোদ্ধা রুস্তুম আজাদ, মকবুল হোসেন, সুখ রঞ্জন শীলসহ জেলা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন অঞ্চলের সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ। মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বীরত্বের সঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত রাখার জন্য তাকে সুন্দরবনের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ বলা হয়। সুন্দরবন রক্ষার জন্য তিনি ‘সুন্দরবন বাঁচাও’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। কখনও জেলেদের নিয়ে, কখনও প্রশাসনের সহায়তায় ওই অঞ্চলে ডাকাত নির্মূলে তিনি ভূমিকা পালন করেন। ডাকাতরা কয়েকবার তাকে হত্যার চেষ্টা করে।

জিয়াউদ্দিন আহমেদ ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে তাতে যোগ দেন। চাকরিতে থাকা অবস্থায় ১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকায় নিবন্ধ লেখার জন্য শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে চাকরীচ্যুত করা হয়। তখন তাঁর পদবি ছিলো লেফটেন্যান্ট কর্নেল। 

১৯৮৯-৯১ সালে বিপুল ভোটে পিরোজপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে নিজের ও অন্যান্যদের অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি ‘সুন্দরবন সমরে ও সুষমায়’ নামে একটি বই লিখেছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত