কমলগঞ্জে খুনির হাতে ব্যবসায়ীর মাথা

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:২৭

পিন্টু দেবনাথ

নিখোঁজের তিন দিন পর মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ব্যবসায়ী সুমন নুনিয়ার (২৪) মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চা বাগান পঞ্চায়েতের পক্ষে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় সন্দেহমূলক আটক চা শ্রমিক বদরী তন্ত বাই (৫০) ও তার ছেলে কান্ত তন্ত বাই স্বীকারোক্তি দেন। পরে কান্ত তন্ত বাই পুলিশি ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ধান ক্ষেত থেকে ব্যবসায়ীর কাটা মস্তক খুঁজে দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার এসআই ফরিদ উদ্দীন জানান, শুক্রবার মাধবপুর চা বাগান থেকে বের হয়ে পান ব্যবসায়ী সুমন নুনিয়া মিরতিংগা চা বাগানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল। তিনদিন পর সোমবার এ চা বাগানের গুটিবাড়ি এলাকার একটি নালায় মস্তশবিহিন একটি লাশ উদ্ধার হলে পরদিন মঙ্গলবার দেহের বিভিন্ন চিহ্ন দেখে পরিবারের লোকজন লাশটি সনাক্ত করেন।

এরপর মঙ্গলবার মাধবপুর চা বাগানের পঞ্চায়েত সদস্য কানাই লাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সন্দেহমূলকভাবে মিরতিংগা চা বাগানের চা শ্রমিক বদরী তন্ত বাই (৫০) ও তার ছেলে কান্ত তন্ত বাই (২৪) কে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদে সুমন নুনিয়াকে হত্যার কথা তারা স্বীকার করে।

এরপর মঙ্গলবার বিকালে আসামি কান্ত তন্ত বাইকে নিয়ে পুলিশের একটি দল মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানুসহ জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতে কাটা মস্তক উদ্ধার করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ উদ্দীন আরও বলেন, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে হত্যার কারণ সম্পর্কে কান্ত তন্ত বাই জানান, তার বোনের সাথে পান ব্যবসায়ী সুমন নুনিয়ার প্রেমের প্রতিশোধ হিসাবে হত্যার পরিকল্পনা করে কান্ত তন্ত বাই। শুক্রবার তাকে অতিরিক্ত মদ পান করিয়ে একাই হত্যা করে কান্ত তন্ত বাই।

কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল হাসান মাধবপুর চা বাগানের পান ব্যবসায়ী সুমন নুনিয়ার কাটা মস্তক উদ্ধার ও থানায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।