যেসব ফুলের স্পর্শেই মৃত্যু

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৩৪

সাহস ডেস্ক

কিছুদিন আগের খবর বাগানের এক উদ্ভিদের আক্রমণে নিহত হয়েছেন এক মালি! রূপকথার কোনো গল্প নয়, সত্যি ঘটনা।

জনসচেতনতা বাড়াতে তাই সম্প্রতি ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা মানুষকে সচেতন করতে পাঁচ প্রকারের মানুষখেকো ফুলের সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। বিজ্ঞানীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া ওই পাঁচ প্রকারের ফুলের নিম্নে দেখে নেওয় যাক এদের পরিচয়। 

মঙ্কসহুড: এটি অ্যাকোনাইট নামেও পরিচিত। বড় আকারের লম্বাটে সবুজ পাতা আর বেগুনি রঙের লম্বা ফুল। এর স্পর্শে হৃদক্রিয়া বন্ধ হতে থাকবে। ত্বকের ভেতরে নিমিষেই প্রবেশ করে এটি। ব্রিটেনের সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণঘাতী উদ্ভিত এটি।

ফক্সগ্লাভ: বনে জন্মালেও মানুষের কাছে খুব প্রিয় এক আকর্ষণীয় চেহারার কারণে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেগুনি রঙের ফুলগুলোর মধ্যে লাল আর হলুদের প্রিন্ট দেখা যায়। এর সামান্য অংশ মুখে গেলে বমি, ডায়রিয়া এবং হৃদক্রিয়া বন্ধ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটবে। ত্বকে স্পর্শ লাগলে চুলকানি হয়।

কুকু পিন্ট: লর্ডস অ্যান্ড লেডিস নামেও সুপরিচিত। বনে-বাদাড়ে জন্মে। ফুলগুলো গোলাকার। এর চারদিকে সবুজ পাতা হুডের মতো ঢেকে রাখে। খাওয়ামাত্র শ্বাস বন্ধ হতে থাকবে। অনেকে এর কারণে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে হয়েছে।

ইংলিশ ইয়েও: লাল গোলাকার ফলের মতো দেখতে। এর পাতাসহ সবকিছুই বিষাক্ত। খেয়ে ফেললে মাথা ঘোরানো, শুকনো মুখ এবং চোখের পিউপিলের প্রসারণ ঘটে। হৃৎস্পন্দন এলোমেলো হয়ে যায় এবং মৃত্যুও ঘটতে পারে।

হেমলক: এটা ব্রিটেনের নিজস্ব উদ্ভিদ নয়। তবে প্রায় সব জায়গায় দেখা মেলে। সাধারণত নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা যায়। এটি খাওয়ামাত্র ফুসফুস কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে এবং এতে মৃত্যু নিশ্চিত। সক্রেটিসের জীবনাবসান ঘটায় এই হেমলক।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত