৫৩ হাজার ৫শ’ পরিবার পাবে হাঁস-মুরগি-ভেড়া

প্রকাশ : ২২ মে ২০১৮, ১৩:৩৪

সাহস ডেস্ক

স্বাবলম্বী করে তুলতে উপকূলীয় চরাঞ্চলের ৫৩ হাজার ৫০০ দরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে হাঁস, মুরগি ও ভেড়া দেবে সরকার। কৃষি, মৎস্য ও পশুপাখি পালনের বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে পরিবারগুলোকে।

উপকূলীয় চরাঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কৃষি, মৎস্য ও পশুপাখি লালন-পালনের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এসব এলাকায় এখনও উন্নত প্রযুক্তিতে পশুপালন না হওয়ায় প্রাণিসম্পদের উৎপাদনশীলতা কাঙ্ক্ষিতমাত্রায় উন্নত হয়নি।

‘উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় তিনটি প্যাকেজে হাঁস-মুরগি ও ভেড়া বিতরণ করা হবে। প্যাকেজ-১ এর আওতায় প্রতি পরিবারে ১৮টি হাঁস, দুটি হাঁসা ও একটি শেড দেওয়া হবে। প্যাকেজ-২ এর আওতায় প্রতি পরিবারে ১৮টি মুরগি, দুটি মোরগ ও একটি শেড দেওয়া হবে। প্যাকেজ-৩ এর আওতায় প্রতি পরিবারে ২টি ভেঢ়ি, একটি ভেড়া ও একটি শেড দেওয়া হবে। 

উপকূলীয় চরাঞ্চলের প্রতিটা ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ২০টি ভিলেজ ফার্মার গ্রুপ গঠন করা হবে। প্রতিটা গ্রুপে ২০ থেকে ২৫ জন সুফলভোগী থাকবেন। প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের মাধ্যমেই প্রকৃত সুফলভোগী নির্বাচন করা হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ড. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, উপকূলীয় এলাকায় নানা কারণে পশুপালন ব্যাহত হচ্ছে। আমরা এসব এলাকায় পশুপালন আরও সম্প্রসারণ করবো। দারিদ্র্যের মাপকাঠি বিবেচনা করে ভেড়া, হাঁস ও মুরগি বিতরণ করা হবে। এতে দরিদ্র মানুষ যেমন সুফল পাবে তেমনি পশুপালনও বিস্তার লাভ করবে। সুফলভোগী নির্বাচনের বিষয়ে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালাও তৈরি করবো।

১৮ জুলাই ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ মেয়াদে বিনামূল্যে ৫৩ হাজার ৫০০ পরিবারের হাতে ভেড়া, হাঁস-মুরগি তুলে দেওয়া হবে। এ প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হবে ১১২ কোটি টাকা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত