পোকা ধরেছে কৃষকের স্বপ্নে!

প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৩৩

আসাদুজ্জামান সাজু

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় লালমনিরহাটে আগে-ভাগেই ইরি-বোরো চাষাবাদে নেমে পড়েন কৃষকরা। প্রথম দিকে আবহওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখেন ইরি-বোরো চাষীরা।

হঠাৎ কৃষককের সেই স্বপ্নে শিলা বৃষ্টির আঘাতের পর এবার পোকার আক্রমণ ও ব্লাস্টসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে আবহওয়ার বৈরী আচারণে জেলায় ইরি-বেরো ক্ষেতে পোকাসহ নানা রোগের আক্রমণে চাষের লক্ষ্যমাত্র ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। 

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তর ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের বন্যায় জেলার ৫ উপজেলার আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার হেক্টর ধান ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টায় চলতি ইরি-বোরো চাষাবাদে কৃষকরা নেমে পড়ে। কৃষি বিভাগ থেকে চলতি ইরি-বোরো চাষাবাদের জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ৪৯ হাজার ৫ শত ৫৫ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম দিকে আবহওয়া অনুকূলে, সময় মত সার-সেচ ও পরিচর্যা করায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে হাজারো কৃষক। কিন্তু কৃষকের বুক ভরা স্বপ্নে প্রথমত আঘাত হানে শিলা বৃষ্টি। গত ৩ এপ্রিল শিলা বৃষ্টি জেলার অধিকাংশ ইরি-বোরো ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। শিলা বৃষ্টির পর শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। ফলে আবহওয়ার এ বৈরী আচারণে ইরি-বোরো ক্ষেতে পোকার আক্রমণসহ ব্লাস্ট ও নানা রোগ দেখা দেয়।

হাতীবান্ধা উপজেলার দঃ গড্ডিমারী গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান জানান, হঠাৎ করে ইরি-বোরো ক্ষেতে শীষ পচনের রোগ দেখা দিয়েছে। ঔষধ প্রয়োগ করলেও এ রোগ দমন করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি পোকার আক্রমণও বেড়ে গেছে।

লালমনিরহাট কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষণ রায় জানান, বৈরী আবহওয়ার কারণেই ব্লাস্ট রোগ দেখা দিতে পারে। তাই যেসব জমিতে ব্লাস্ট রোগ আক্রান্ত হয়নি কিন্তু ওই এলাকার আবহওয়া অনুকূলে নয় সেখানকার ধান ক্ষেতে রোগ আক্রান্ত হোক বা না হোক, শীষ বের হওয়ার আগ মুহূর্তে প্রতি ৫ শতাংশ জমিতে ৮ গ্রাম ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি বা দিফা ডব্লিউপি বা ৬ গ্রাম ন্যাটিভো ৭৫ ডব্লিউপি বা ট্রাইসাইক্লাজ/স্ট্রবিন গ্রুপের অনুমোদিত ছত্রাকনাশক ঔষধ অনুমোদিত মাত্রায় শেষ বিকালে ৫-৭ দিন পর পর দু বার প্রয়োগের পরামর্শ দিচ্ছি।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত