জনপ্রিয় হচ্ছে পাচিং পদ্ধতি

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৮, ২০:৩০

তপু আহম্মেদ

পোঁকামাকড় ও রোগবালাই থেকে ফসলকে রক্ষা করা, কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আনা ও পরিবেশ-সম্মতভাবে ফসল উৎপাদন পেতে টাঙ্গাইলের সখীপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে পাচিং পদ্ধতি।

উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক কৃষকের ইরি-বোরো ক্ষেতে পাচিং পদ্ধতি কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সার্বিক সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। ক্ষতিকারক পোঁকার আক্রমণ থেকে ইরি-বোরো ক্ষেত রক্ষায় এ পদ্ধতি একটি কৃষিবান্ধব প্রযুক্তি। সাধারণত ‘লাইভ পাচিং’ ও ‘ডেথ পাচিং’ নামের দুই ধরনের পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে থাকে। কৃষকরা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের অধিক ফলন পেয়ে থাকে। এছাড়া জমিতে কীটনাশক খরচ কম ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায়।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামগঞ্জের কৃষকদের সবুজ ধান ক্ষেত বাতাসে দোল খাচ্ছে। ক্ষেতের মধ্যে একর প্রতি ১০ থেকে ১২টি বাঁশের কঞ্চি কিংবা গাছের ডাল পোঁতা রয়েছে। ওই পাচিংয়ে (খুঁটিতে) ফিঙ্গে, শালিক, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। রোপনকৃত ওইসব ক্ষেতে ক্ষতিকর ঘাঁসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোঁকা, চুঙ্গি ও মাজরা পোঁকার আক্রমণ দেখা দেয়। তাই এ সকল পোঁকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় বর্তমানে উপজেলায় প্রায় ৬০ ভাগ কৃষক পাচিং ও আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফায়জুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার প্রায় সকল এলাকায় কৃষকদের পাচিং পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য কাজ করছি। পাচিং পদ্ধতি কৃষকের কৃষি ও পরিবেশবান্ধব একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিটি কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কোন খরচ ছাড়াই এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষেতে পোঁকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে পারবে কৃষকরা।

সাহস২৪.কম/রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত