ধানের ন্যায্য মূল্য না থাকায় রংপুরে কমেছে ইরি-বোরো চাষাবাদ

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০১৭, ১২:৪৭

আসাদুজ্জামান সাজু

রংপুর অঞ্চলে ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদ প্রতি বছর কমে আসছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ব্যাপক হারে নিচে নেমে যাওয়ায় ও ধানের তুলনামুলক ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, ইরি-বোরো চাষাবাদের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে তারা বোরো চাষের পরির্তনে পানি ছাড়া অন্য ফসল চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করছে। যে কারণেই ইরি-বোরো চাষাবাদ কমে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধায় ২০১৫ সালে ইরি-বোরো চাষাবাদ হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ২ শত ৮৩ হেক্টর জমিতে। ২০১৬ সালে তা কমিয়ে দাড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১১ হাজার ৬ শত ৮৬ হেক্টরে। চলিত ইরি-বোরো মৌসুমে চাষাবাদ হয়েছে ৫ লক্ষ ২ হাজার ২ শত ৮৩ হেক্টর জমিতে। প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর কম জমিতে ধানের চাষ হয়েছে গত দুই বছরে।

কৃষি বিভাগের অপর একটি সূত্র মতে, গত দুই বছরে রংপুরের ৫ জেলায় আলুর চাষাবাদ বেড়েছে ১০ হাজার ৩ শত ৬৬ হেক্টর জমিতে, ভুট্টার চাষাবাদ বেড়েছে ১১ হাজার ২ শত ২৪ হেক্টের জমিতে। এছাড়া ব্যাপক হারে বেড়েছে বাদাম, টমেটো, কুমড়ার চাষাবাদ।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের কৃষক মাজেদুল ইসলাম জানান, ১ মণ ধান উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ৭ শত টাকা। অথচ সেই ধান বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ৬ শত টাকায়। তাই এবার ধানের পরিবর্তনে ভুট্টা চাষ করেছে। ভুট্টা বাজার মূল্য ধানের চেয়ে তুলনামূলক ভালো রয়েছে বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বিদু ভূষণ রায় বলেন, ইরি-বোরো চাষাবাদের কারণে রংপুর অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। যে কারণে ইরি-বোরো চাষের পরিবর্তে পানি ছাড়া অন্য ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত