মরিচের ঝালে ডিমলায় কৃষকের মুখে হাসি!

প্রকাশ : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৩:৩২

ডিমলা প্রতিনিধি

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কৃষকরা মরিচের চাষ করেছেন এবং মরিচের ফলনও ভালো হয়েছে।

বর্তমানে মরিচ প্রতি মন ৭৫০ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের কৃষক একরামুল হক জানালেন তিনি ৩ বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ করেছেন।

প্রথম বার পেয়েছেন ২০ মন ২য় দফায় ৩৫ মন মরিচ ছিরেন এভাবে ৬/৭ দফা মরিচ ছিরবেন তিনি। এতে তার আয় হবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। কিটনাশক সার দিতে হয়নি, গোবর সার ব্যবহার করে সামান্য পরিমান রাসায়নিক সার পরিমানে কম ব্যবহারে বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা।

এমন করে উপজেলা ১০ টি ইউনিয়নের কৃষকরা ২/৩ বিঘা করে মরিচ চাষ করেন। তবে অতি দুখের বিষয় উপজেলা সদরের বিখ্যাত মরিচ হাটটি নষ্ট হয়ে যায় ৩ বৎসর আগে। এ নষ্ট হওয়ার কারণ ছিল সাধারন কৃষদের নিকট ইজারাদাদের অতিরিক্ত টোল আদায় এবং কৃষককে হয়রানি করা। ইজারাদার ক্ষমতাধর ব্যক্তি হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি।

কৃষকরা পাশ্ববতি ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট, খগারহাট, টুনিরহাট এবং পাশ্ববর্তি ডোমার উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মুছারমোড়ে ভ্যান ভাড়া করে মরিচ নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছেন। এতে স্থানীয় কৃষক, ব্যবসায়ী সকলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। বিলুপ্ত এই মরিচ হাটটি পুনরায় লাগাবার কোন উদ্যেগ এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গ্রহণ করেননি।

যদি হাট ডিমলা সদরে লাগানো যেত তা হলে কৃষক, ব্যবসায়ী সকলেই উপকার হতো কিন্তু সাধারণ মানুষের নিয়ে তাদের ভাববার অবকাশ কই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত